আই ই এল টি এস কি?
আই ই এল টি এস (International English Language Testing System) বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরিমাপের একটি আন্তর্জাতিক পরীক্ষাপদ্ধতি। এটি মূলত ভাষার দক্ষতা নির্ধারণের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা বিদেশে পড়াশোনা বা কর্মসংস্থানের জন্য ইংরেজি ভাষার জ্ঞান যাচাই করতে চান। আই ই এল টি এস পরীক্ষাটি 1989 সালে চালু হয়, এবং এটি এখন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে গ্রহণযোগ্য।
এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা—শুনা, পড়া, লেখা এবং কথোপকথন—নির্ধারণ করা। প্রতিটি পরীক্ষার অংশ 0 থেকে 9 এর স্কেলে রেট করা হয়, যেখানে 9 হল সর্বোচ্চ প্রবাহ। পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধাপে তাদের ইংরেজি ভাষার ক্ষমতার মানদণ্ড মাপতে পারে এবং বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে এই স্কোরের ভিত্তিতে আবেদন করতে সক্ষম হয়।
আই ই এল টি এস পরীক্ষার দুইটি ভিন্ন মোড বিদ্যমান: Academic এবং General Training। Academic মোডটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য এবং General Training মোডটি কাজের ভিসা এবং সাধারণ প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত। পরীক্ষাটি সারাবিশ্বের 140টির অধিক দেশে অনুষ্ঠিত হয়, এবং শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুবিধামত পরীক্ষার তারিখ এবং স্থান নির্ধারণ করতে পারে।
আই ই এল টি এস পরীক্ষার সাফল্য নির্ভর করে সুবিন্যস্ত প্রস্তুতির উপর। তাই, সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের জন্য সময়মত প্রস্তুতি নেওয়া অপরিহার্য। প্রভুতি এবং পেশাগত নৈপুণ্য নিশ্চিত করতে ভাষা নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করার সময় এটি লক্ষ্য রাখা উচিত।
আই ই এল টি এস এর বিভিন্ন স্কোর্স
আই ই এল টি এস (International English Language Testing System) পরীক্ষার দুটি প্রধান স্কোর্স রয়েছে: একাডেমিক এবং সাধারণ প্রশিক্ষণ। এই দুইটি স্কোর্সের উদ্দেশ্য এবং কাঠামো ভিন্ন, যা পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন লক্ষ্য অনুসারে ডিজাইন করা হয়েছে। একাডেমিক স্কোর্স মূলত সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চান, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে; এর উদ্দেশ্য হল পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা মূল্যায়ন করা যাতে তারা বিদেশে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে, সাধারণ প্রশিক্ষণ স্কোর্সটি তাদের জন্য উপযোগী যাঁরা ইংরেজিতে ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে চান, বিশেষ করে যারা বিদেশে কর্মসংস্থান অথবা প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক। এই স্কোর্সটি সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজি ব্যবহার এবং যোগাযোগের দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করে।
প্রস্তুতির ক্ষেত্রে, উভয় স্কোর্সের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রস্তুতির প্রয়োজন। একাডেমিক স্কোর্সে পরীক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক লেখালেখি এবং জটিল ভাষাগত ধারণার ওপর মনোযোগ দিতে হয়, যেখানে সাধারণ প্রশিক্ষণ স্কোর্সে ব্যবহারিক ভাষাগত দক্ষতা, যেমন দৈনন্দিন কথোপকথন, লিখিত কাজ এবং শোনা বোঝার দক্ষতা পরীক্ষিত হয়।
একাডেমিক স্কোর্সটি সাধারণত গবেষণা, ভিজুয়াল তথ্য, এবং যুক্তি প্রদানের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করে, যখন সাধারণ প্রশিক্ষণ স্কোর্সের ভিত্তিতে প্রায়শই বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি ড্রাইভিং করে। অতএব, যাঁরা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য একাডেমিক স্কোর্সই সবচেয়ে উপযুক্ত, এবং যাঁরা কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তাঁদের জন্য সাধারণ প্রশিক্ষণ স্কোর্সটি অধিকতর কার্যকর।
পরীক্ষার কাঠামো
আই ই এল টি এস (International English Language Testing System) পরীক্ষাটি চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত: Listening, Reading, Writing এবং Speaking। এই অংশগুলোর প্রত্যেকটিতে আলাদা কাঠামো এবং মার্কিং পদ্ধতি রয়েছে, যা পরীক্ষার্থীদের সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়। আই ই এল টি এস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রতিটি অংশের কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা।
Listening অংশটিতে পরীক্ষার্থীদের চারটি ভিন্ন অডিও ক্লিপ শোনা হয়। প্রতিটি ক্লিপ সাধারণত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্থাপিত হয়, এবং উত্তরের জন্য ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা এই অংশে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে এবং তাদের ফলাফল ০-৯ রেটিং স্কেলে নির্ধারিত হয়। প্রচলিতভাবে, এই অংশের প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন অডিও সেশন শোনা এবং প্রাক্তন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Reading অংশে তিনটি টেক্সট উপস্থাপন করা হয়, যা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের লিখিত সামগ্রী থেকে সংগৃহীত হয়। এটি মোট ৬০ মিনিট সময় নেয় এবং পরীক্ষার্থীদের ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই অংশের জন্য আবশ্যক যে প্রার্থীরা দ্রুত পড়ে এবং তথ্য বুঝতে সক্ষম হন। প্রার্থীরা দশটি উত্তরের জন্য অনেক সময় নেবেন না, তাই সমাধানের কৌশল ব্যবহার করে শর্টলিস্ট করা জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Writing অংশটি দুইটি টাস্কে বিভক্ত। টাস্ক ১ সাধারণত একটি গ্রাফ, চার্ট বা টেবিল বিশ্লেষণ করা মুলক হয়, যেখানে পরীক্ষার্থীদের ১৫০ শব্দের মধ্যে বিশ্লেষণের লিখন করতে হয়। টাস্ক ২ একটি প্রবন্ধ রচনা লেখা, যেখানে ২৫০ শব্দের মতো যুক্তি তুলে ধরতে হয়। এই অংশে দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত লেখার অভ্যাস থাকা এবং পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্রের মডেল দেখে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
রেকর্ডিং পরীক্ষার শেষ অংশ, Speaking, সাধারণত ব্যক্তিগত আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে গঠিত। এটি তিনটি অংশে বিভক্ত এবং ১১-১৪ মিনিট সময় নেয়। সাক্ষাৎকারের আকারে পরিচালিত হয়, যেখানে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই অংশে তরুণ বক্তার মতবাদ ও যোগাযোগের দক্ষতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উপদেশ হচ্ছে, নিয়মিত আলাপচারিতায় অংশ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠা।
আই ই এল টি এস রিপোর্ট কার্ড
আই ই এল টি এস পরীক্ষার পর প্রাপ্ত রিপোর্ট কার্ড শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার একটি সমগ্র প্রতিফলন। এই রিপোর্ট কার্ডে পরীক্ষার চারটি বিভাগের মাধ্যমে একক স্কোর দেখানো হয়: শোনা, পড়া, লেখার এবং কথোপকথন। প্রতিটি বিভাগে স্কোর 0 থেকে 9 এর মধ্যে নির্ধারণ করা হয়, যেখানে 9 নির্দেশ করে “বিশেষজ্ঞ” এবং 0 নির্দেশ করে “যে কেউ পরীক্ষা দেয়নি”।
স্কোর গণনা করার প্রক্রিয়া যথেষ্ট সূক্ষ্ম। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিভাগের জন্য নির্ধারিত স্কোর তাদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট গঠন অনুসারে হয়। এই স্কোরগুলি পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর সংগৃহীত এবং বিশ্লেষণ করা হয়, যা নিশ্চিত করে যে ফলাফলগুলি সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য। রিপোর্ট কার্ডটি প্রযুক্তিগতভাবে একটি স্বীকৃত নথি যা বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে, পেশাগত সংস্থায়, এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আলাদা আলাদা কৌশল অবলম্বন করতে পারে স্কোরের কিম্বা মোট স্কোর যে অভিলাষ জ্ঞাপন করে। যেমন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাধারণ স্কোরের পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগের পৃথক স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে, অপরদিকে অন্যদের হয়তো সামগ্রিক স্কোরের প্রতি মনোযোগ বেশি থাকবে। ফলে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষার্থীরা তাদের রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে সচেতন থাকুক এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রস্তাবিত স্কোর বুঝতে সক্ষম হোক। এটি নিশ্চিত করবে যে তাদের আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং তারা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করেছে।
প্রস্ত্ততি কৌশল
আই ই এল টি এস পরীক্ষার সাফল্যের জন্য কার্যকর প্রস্তুতি কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সময়ের সঠিক পরিকল্পনা করা আবশ্যক। একজন পরীক্ষার্থীর উচিত তার প্রস্তুতিতে পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ করা, যা অন্তত 8-12 সপ্তাহ হতে পারে। এই সময়সীমার মধ্যে, শিক্ষার্থীকে নিয়মিত অনুশীলন এবং পর্যালোচনা করতে হবে। প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হিসাবে, পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রস্তুতি দিবসের গুরুত্ব বুঝতে হবে, যেমন: লিখিত, শ্রবণ, পড়া এবং কথোপকথন। প্রতিটি বিভাগে উপযুক্ত সময় বরাদ্দ করা উচিৎ, যাতে সমস্ত ক্ষেত্রেই উন্নতি সাধন করা যায়।
দ্বিতীয়ত, অনলাইন এবং অফলাইনে প্রস্তুতির বিভিন্ন পদ্ধতি খুবই কার্যকর। অনলাইনে প্রস্তুতির জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর সম্পদ পাওয়া যায়, যেমন অনলাইন কোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, এবং মক টেস্ট। এগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্লেক্সিবল সময়সূচী অনুসারে পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। এছাড়াও, বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যেমন IELTS Prep, IELTS Test Pro, এগুলি ব্যবহার করে প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে পারে।
অন্যদিকে, অফলাইনে প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত ক্লাসে ভর্তি হওয়াও কার্যকর হতে পারে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছ থেকে মৌলিক ধারণা এবং সহায়তা পেতে পারেন, বিশেষ করে পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়া আগে। স্থানীয় লাইব্রেরি ও প্রতিষ্ঠানগুলি প্রস্তুতির জন্য কার্যকর বই ও উপকরণ সরবরাহ করে।
সবশেষে, পাঠ্যসামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সত্যিকারভাবে প্রস্তুতির জন্য স্কিম্যাটিক এবং রিভিশনাল নোট তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থী তাদের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পারে। ঐতিহ্যগত প্রস্তুতির পাশাপাশি, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত কার্যকরী এবং সময় সাশ্রয়ী।
ভারি ভুল এবং এড়ানোর উপায়
আই ই এল টি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সাধারণ ভুল দেখা যায়, যা তাদের পরীক্ষার ফলাফলকে প্রভাবিত করে। এই ভুলগুলো সাধারণত সংযোগের অভাব, সময়ের অপ্রতুল ব্যবহার এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান নিয়ে থাকে। সার্বিকভাবে, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হলে, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রস্তুতিতে আরও মনোযোগী হতে সক্ষম হয়।
প্রথমত, শোনা বা শংকর অংশে বড়ো ভুলের মধ্যে রয়েছে অল্প সময়ে উত্তর দেওয়া। অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন শুনে উত্তর দিতে গিয়ে সময়কাল সীমিত মনে করে, ফলে তাদের চিন্তাভাবনার স্পষ্টতা হারিয়ে যায়। এড়ানোর উপায় হিসেবে, পরীক্ষার্থীদের ধৈর্য নিয়ে প্রথমে প্রশ্নগুলি সম্পূর্ণ শুনতে হবে এবং তারপর উত্তর দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে তাদের চিন্তা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, লেখন অংশে অনেক পরীক্ষার্থী শব্দের ভুল বানান ও গ্রামার ব্যবহার করে, যা তাদের প্রকৃত পয়েন্টকে ধোঁয়াশা করে ফেলে। এর জন্য, পরীক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসের সাথে শব্দভান্ডার বৃদ্ধি করা এবং নিয়মিত প্রাকটিস করা উচিত। এছাড়া, লেখার সময় পুনঃপড়াশোনা করাও একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে।
এছাড়াও, স্পিকিং অংশে, অনেক শিক্ষার্থী তাদের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যা তাদের করণীয় মনোভাব প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে। এটির প্রতিকার হিসেবে, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর উচিত নিয়মিত ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা, যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে বিষয়টি প্রকাশ করতে পারে।
সবশেষে, সময়ের জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার্থীদের সময় ব্যবস্থাপনার কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে হবে যাতে তারা প্রতিটি সেকশনের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করতে পারে। অযথা সময় নষ্ট না করে সঠিকভাবে সময় ব্যবহার করতে পারলে পরীক্ষার ফলাফল উন্নতি লাভ করতে পারে।
প্রাসঙ্গিক রিসোর্স
আই ই এল টি এস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত রিসোর্স বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণনা করা যায় যে এই পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং বইয়ের সাহায্যে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে। প্রথমত, অনলাইন কোর্সগুলো, যেমন IELTS Liz এবং British Council এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অত্যন্ত উপকারী। এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে শিক্ষণ সামগ্রী এবং ফ্রি টেস্টের আশরয় পাওয়া যায়। শিক্ষার্থী যারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের প্রস্তুতি করতে চান, তারা এইসব রিসোর্স ব্যবহার করে উপকার পাবে।
মোবাইল অ্যাপসও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কার্যকরী হতে পারে। যেমন, IELTS Prep App, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সুযোগ দিয়ে থাকে। এটি ডাউনলোড করে শিক্ষার্থীরা যাবতীয় প্রশ্ন এবং সমাধানের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও, Duolingo এবং Quizlet এর মতো অ্যাপগুলি ভাষা শিখতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন বইও পাওয়া যায় যা আই ই এল টি এস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হতে পারে। Cambridge IELTS series, যা পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্রগুলো নিয়ে তৈরি, শিক্ষার্থীদের বাস্তব পরীক্ষার পরিবেশে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। “Barron’s IELTS Superpack” বইটিও পরিচিত, বিশেষ করে যারা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিতে চান। উদাহরণস্বরূপ, “Target Band 7” বইটি ছাত্রদের উচ্চ গ্রেড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়।
এছাড়া, YouTube তে রয়েছে অসংখ্য চ্যানেল যেগুলি আই ই এল টি এস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভিডিও কন্টেন্ট সরবরাহ করে। এই ভিডিওগুলোতে পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপ সংক্রান্ত ম্যাটেরিয়াল উপস্থাপন করা হয় যা শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে। এই সকল রিসোর্সের সঠিক ব্যবহার পরীক্ষার্থীদের আই ই এল টি এস পরীক্ষায় সফল হওয়ার সুযোগ বাড়ায়।
অন্তর্বর্তী সময়কাল
আই ই এল টি এস পরীক্ষার পরবর্তী সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব, যেখানে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতির প্রয়োজন হতে পারে। এই সময়কাল সাধারণত পরীক্ষার দিন থেকে ফলাফলের ঘোষণা পর্যন্ত চলে, যা প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এই সময়কালে, পরীক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে, কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন সঠিক হবে।
প্রথমত, সাক্ষাৎকার এবং প্রস্তুতি করার জন্য সময়কালকে ব্যবহার করা উচিত। আই ই এল টি এস পরীক্ষার বিভিন্ন স্কোরের সঙ্গে সম্পর্কিত অখণ্ডতা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্র বোঝার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। পরীক্ষার্থীরা অনলাইনে বিভিন্ন মাস্টারক্লাস এবং প্রস্তুতিমূলক কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন। নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা মানসিক চাপ মোকাবেলায় সহায়ক হতে পারে।
ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা সময়ে, নিজেকে পজিটিভ চিন্তাভাবনার মধ্যে রাখতে হবে। ফলাফল নিয়ে উদ্বেগের পরিবর্তে, যেকোনো সম্ভাব্য ফলাফলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা উত্তম। এজন্য মেডিটেশন, প্রভাবশালী গ্রন্থ পড়া অথবা সংগীত শোনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ ছাড়া, পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে অনুভূতি বিনিময় করলে মানসিক চাপ কমে আসবে। এই সময়ে সহযোগিতামূলক মনোভাব সবসময় ফলপ্রসূ।
সর্বশেষে, সময়কালটিকে একটি উন্নয়নের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল যে দুটি সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে আসবে—সফলতা বা ব্যর্থতা—বাতিল করার পরিবর্তে, শিখন এবং উন্নতির অধ্যায় হিসেবে গৃহীত হোক। এটি হয়ত পরীক্ষার পরবর্তী ধাপে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস এবং প্রস্তুতির জন্য ভূমিকা রাখবে।
আই ই এল টি এস এর প্রভাব
আই ই এল টি এস, বা ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম, শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হলো একজন ব্যক্তির ইংরেজি ভাষার দক্ষতা মূল্যায়ন করা, যা আন্তর্জাতিক পদে কাজ করার জন্য অপরিহার্য। পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার এবং জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে, কারণ এটি তাদের বিদেশে পড়াশোনা এবং চাকরির সুযোগের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
বিশ্বের অনেক সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান আই ই এল টি এস এর স্কোর ভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একটি উচ্চ স্কোর অর্জন করে শিক্ষার্থীরা প্র mundo অগ্রাধিকার ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীদের জীবনে এই প্রভাব এতটাই শক্তিশালী যে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ব্যবসা, চিকিৎসা, প্রকৌশল ইত্যাদি আন্তর্জাতিক পরিবেশে আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, আই ই এল টি এস পরীক্ষার ফলাফল চাকরির বাজারে গুরুত্ব সহকারে প্রভাব ফেলে। অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় এই পরীক্ষার ফলাফলকে প্রধান একটি মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করে। কোম্পানিগুলো সচরাচর অনুসন্ধান করে এমন প্রার্থীদের মধ্যে যাদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণিত, কারণ এটি তাদের দলবদ্ধ কাজে এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে সুবিধা প্রদান করে। তাই, আই ই এল টি এস এর পরীক্ষা শুধু একটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই নয়, বরং এটি বৈশ্বিক ক্যারিয়ার গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।